cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় ইন্ধন যোগানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মেম্বার।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিশ্বনাথের মাহতাব বাজার মৎস্য আড়তের জটিলতা নিয়ে গত ২২ আগস্ট আমার বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে। বাজারের বশির ও ইমাম উদ্দিন এবং তাদের সহযোগীদের হামলায় আমার ভাতিজা স্কুলছাত্র মোজাম্মেল হোসেন নেওয়াজ এর চোখ ছুুলফির আঘাতে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া আমাকে সালিসের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ইলিয়াসপত্নী লুনা’র নির্দেশ আছে ঘটনাটি সালিসের মাধ্যমে শেষ করতে হবে। এরপর তারা সালিসের জন্য আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও আমার প্রতিপক্ষ বশিরের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আমানত জমা নিয়ে পরের শনিবার সালিসে ঘটনাটি সমাধানের তারিখ নির্ধারণ করেন।
এ সময় আমি তাদের বলি- আমার ভাতিজার যে চোখ চলে গেছে তার চিকিৎসার খোঁজ নেন। কিন্তু তারা একবারের জন্য তাকে দেখেনওনি। তখন তাদের আমি অনুরোধ করি আপনারা পক্ষ ছাড়া কিভাবে শনিবার শালিস করবেন। আমাকে সময় দেন। কিন্তু তারা সেটা শুনেনি। তারা বলেন- আমরা শনিবার সালিশে বসে বিচারের রায় দেব। তারা আমাদের সময় না দিয়ে শনিবার একতরফা সালিস করে রায় দেন। রায়ে তারা আমার ৫ লাখ টাকা আমানত বাজেয়াপ্ত করেন। আড়তের তিনটি দোকান বেআইনিভাবে প্রতিপক্ষের কাছে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। লিজ থাকা সত্ত্বে দোকানটি আসামিপক্ষকে দিয়ে দেন। কিন্তু বিচার যদি সঠিক হতো তাহলে যার চোখ চলে গেছে তাকে ক্ষতিপুরণ দেয়া হতো। তা না করে আসামিপক্ষকে দেয়া হয়। রায়ে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, কিন্তু তাঁর কারণ উল্লেখ করেনি। কি কারণে ৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তাও বলেনি। এই দোকানগুলো নিয়ে আদালতে দায়ের করা ১৫টি মামলার কাগজ দিয়েছি। তারা সেগুলো দেখেনি। একটা স্কুলছাত্রের যে চোখ চলে গেছে তার বিচারও করেনি। সুপ্রিম কোর্টের মামলার রায় আমরা পেয়েছি। সালিসানরা হাইকোর্টের সেই রায়কে ভুয়া বলে অভিহিত করেন। যে ফখরুদ্দিন গংকে দোকান দেয়া হয়েছে তারা রাতারাতি দোকান বিক্রি করে ১১ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। বিচারের রায় দিয়েছেন ২১শে সেপ্টেম্বর, কিন্তু বিচারের তারিখ ছিল ২৫শে দিয়ে সেপ্টেম্বর। তারা চারদিন আগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন। শেষ বৈঠকে আমিও উপস্থিত ছিলাম না। এক পক্ষের অনুপস্থিতিতেই তারা তাদের সাজানো নাটক করে গেছেন। অন্যায়ভাবে বিচারের রায় দিয়ে গেছেন। জাকিরের দোকান ইমানিকে, আলী আকবরের দোকান এবাদকে, তারেকের দোকান দিয়েছেন জামিলকে। যার ছুলফির আঘাতে আমার ভাতিজার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই ইদ্রিছ আলী ইমানীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া জয়নি। কারণ সে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী। তাকে একটি দোকান তারা দিয়ে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন নিজেকে নির্যাতিত বিএনপি কর্মী দাবি করে বলেন, মূলত: সালিসের নাম করে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া বাদীপক্ষের ৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি মাহতাবপুর বাজার মৎস্য আড়তের তিনটি দোকানের মালিকান আসামিপক্ষকে অবৈধভাবে দিয়ে দিয়েছেন। বিনিময়ে তারাই লাভবান হয়েছেন। তারা ছিলেন সুযোগ সন্ধানী। তাদের সালিশ কার্য চলাকালে আমাদের বিপক্ষে দুটি মামলা হয়। অথচ তারা এ ব্যাপারে নীরব ছিলেন। আমার মনে হয় আমাদের সালিশের ব্যস্ত রেখে তারা এই মামলার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। তারা থানায় উপস্থিত হয়ে এক পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করান। এ দুটি মামলার বাদী যথাক্রমে ফখর উদ্দিন ও সবুজ মিয়া। বিচার চলমান অবস্থায় আমাদের ৬ জন লোক জেলে যায়। এটি কেমন সালিশ বিচার ছিলো তা এখানেই অনুমান করা যায়। টুকের বাজারের কালাম মেম্বারও আরেক ধান্ধাবাজ। সেও সালিসে ছিল। বড় অংকের টাকার বিনিময়ে এ মানুষটি আমাদের মৎস্যজীবী দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বিশ্বনাথ বিএনপিকে ইরয়াস আলীর সাজানো বাগান এবং তা রক্ষার দাবি জানিয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, গৌছ মিয়া-লিলু মিয়া গং উপজেলা বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে সংবাদ সম্মেলন করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষামতাসাীন থাকাকালে জনৈক ব্যক্তিকে সরকারি চাকরি দিবে বলে টাকা আত্মসাত করেন। পরে ওয়ান ইলেভেনের সময় মামলা হলে সে টাকা দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে পরিশোধ করেন। এটি সকলেই জানেন। এ ঘটনার পর তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এরপর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। সেখানে গিয়েও তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি একটি বিরাট মিশন নিয়ে এলাকায় এসেছেন। তার অনুগতদের থানা বিএনপির কমিটিতে স্থান পাইয়ে দিয়েছেন। উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে তার লোকদের প্রার্থী করেছেন। তিনি অত্যন্ত কৌশলে এগুচ্ছেন এবং তার বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ভাবিকেও বিতর্কিত করতে চাইছেন। বিশ্বনাথে সকল ধান্ধাবাজদের কাছে নিয়ে দলের ক্ষতি করছে। তার মিশনের অন্যতম হলো আমাদের নেত্রীকে কব্জা করা এবং জনবিচ্ছিন্ন করা। ৫ আগস্টের পর বিশ্বনাথ থানা পুলিশ চোরাই চিনি সহ চারজনকে আটক করে। গৌছ আলী ও লিলু মিয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন। যাতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষন্ন হয়েছে। কিছুদিন পূর্বে ইউকে থেকে বন্যার্তদের জন্য যে টাকা এসেছে সেগুলো তিনি আত্মসাত করেছেন।
অপরদিকে লিলু মিয়া একজন বিরাট ধান্ধাবাজ লোক। ইতোমধ্যে বিশ্বনাথ বিএনপির সকল গ্রুপের সঙ্গে তিনি সখ্যতা করেছেন। বার বার গ্রুপ পাল্টিয়েছেন। এজন্য তিনি লাঞ্চিতও হয়েছেন। সেক্রেটারী হওয়ার পর তিনি দেশে বিদেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে হেলাল উদ্দিন এক তরফা সালিসের নামে দোকানকোটা, টাকা আত্মসাৎ এবং তার ভাতিজা নেওয়াজের চোখের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পাশাপাশি গৌছ উদ্দিন ও লিলু মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। — বিজ্ঞপ্তি